দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধর্ষণের চেষ্টা করায় আঃ মতিন নামের ৬০ বছর বয়সী এক শ্বশুরের লিঙ্গ কেটে দিয়েছে তারই পুত্রবধূ শাপলা (ছদ্মনাম)। এবং এ ঘটনায় ঐ পূত্রবধুকে ১৫১ ধারা অনুযায়ী মহামান্য আদালতে প্রেরণ করেছে খানসামা থানা পুলিশ।

২১ আগস্ট (রবিবার) মধ্যরাতে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সূবর্ণখুলীর ছুরত আলী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২১ বছর আগে একই এলাকার মহিশাহ পাড়ার নজু ইসলামের মেয়ের সাথে ছুরত আলী পাড়ার মতিনের ছেলে রশিদুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই শ্বশুরের লালসায় পড়ে পূত্রবধু শাপলা (ছদ্মনাম)। ঐ পূত্রবধু তার স্বামী ও পরিবারের সকল সদস্যকে বিষয়টি জানালেও সুরাহা হয়নি। অপরদিকে শ্বশুর সুযোগ পেলেই যৌন নির্যাতনের স্বীকার হন ঐ পূত্রবধু।

সেই ঘটনার জেরেই রবিবার রাতে ধর্ষণ চেষ্টা করে শ্বশুর আঃ মতিন। এর এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কেটে আহত করে পূত্রবধু শাপলা (ছদ্মনাম)। এতে চিৎকার চেচামেচি শুরু হলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রবিবার মধ্যরাতে এক বৃদ্ধ হাসপাতালে আহত অবস্থায় আসে। তার গোপনাঙ্গ অর্ধেকেরও বেশি কাটা দেখতে পেয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ শাহ্ মুঠোফোনে এই প্রতিবেদক কে জানান, আমি ঘটাস্থলে যাইতে পারি নাই। এবং এ ঘটনায় ওই পরিবারের সঙ্গে এখনও আলোচনা করতে পারি নাই। আসলে কি কারণে এই রকম একটি ঘটনা ঘটলো আমার ইউনিয়নে। কিন্তু এই বিষয়ে আমি কয়েকজনের মুখে শুনেছি তাদের পরিবারে নাকি দীর্ঘ দিন থেকে বেটা, বউ, ও শশুরের কি জানি একটা ঝগড়া বিবাদ চলছে। আর তাছাড়া ওই এলাকার কয়েকজন জানিয়েছে এই ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তিনি আরও বলেন,এই মহিলা যে ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এই রকম ঘটনা আমার ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত দুর্নামের। এটা সামাজিক এবং নৈতিক অবক্ষয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছে। এবং ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছিল এবং তার সাথে কথা বলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে কিন্ত জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই মহিলা কি বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন না বিষয়ে তো এখন কিছু বলা যাবেনা। ওই মহিলার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালকে জেলা জজ এ পাঠিয়েছি এখন জামিন নিয়ে বের হয়েছে কিনা জানিনা। এ বিষয়ে এখনও থানায় কোন অভিযোগ আসে নি বলে জানিয়েছেন তিনি।